সফলতার গল্প

‘কাবাবচিনি’ নিয়ে উদ্যোক্তা শারলিনার এগিয়ে চলার গল্প

শারলিনার পরিচয়

শারলিনা আলম, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা তার। পরিবারের সপ্তম সন্তান শারলিনা স্কুল জীবনেই মা-বাবাকে হারিয়েছেন। অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি।

লেখা পড়া

চট্টগ্রাম সার্দাউন ইউনিভার্সিটি থেকে এম বি এ করেছেন। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানো তার জন্য ছিল অনেক কষ্টের।

পড়ুনঃ মেসেঞ্জারের নতুন নিরাপত্তা কি এবং ব্যবহার করার নিয়ম

পড়াশোনা শেষ করে নিজের প্রচেষ্টায় কিছু করতে শারলিনা বেছে নেন ই-কমার্স উদ্যোক্তার পথ। ফেসবুক পেজ ‘কাবাবচিনি’ থেকে গড়ে তুলেন নিজের আলাদা পরিচয়। তার পেজের পণ্যের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি খাবার মেজবানি মাংসের মসলা। এছাড়াও আছে চট্টগ্রামের বিখ্যাত মিষ্টি মরিচের গুঁড়ো, খাগড়াছড়ির হলুদের গুঁড়ো, কুমিল্লার চান্দিনার ধনিয়া গুড়ো, জিরা, কাবাব মসলা, তন্দুরি মসলা, বিরিয়ানির মসলা, মাংসের মসলা, চাপ মসলা, মাছের মসলা, বারবিকিউ মসলা ইত্যাদি পণ্য।

শারলিনার ব্যবসা

ব্যবসা শুরুর গল্প জানতে চাইলে শারলিনা আলম বলেন, ‘ব্যবসার শুরুটা আসলেই অনেক কষ্টের ছিল। তার উপর আর্থিক সমস্যা। করোনাকালীনে ব্যবসার জন্য নিজেকে তৈরি করা ছিল অনেক চ্যালেন্জিং ব্যাপার। আমার জমানো ৮ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করি। শুরুতে ঘরে বসে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতাম। আমার প্রথম অর্ডার ছিল ৫০ গ্রাম মেজবানি মাংসের মসলা। যখন পণ্যের অর্ডার আসত তখন পণ্য রেডি করতাম। তবে এখন তা করতে হয় না। কেননা একটা মসলা দিয়ে শুরু করে এখন ১১ ধরণের মসলা নিয়ে কাজ করছি’।

পড়ুনঃ মেয়েদের সেরা ব্যবসার আইডিয়া

তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় আমার মাকে দেখতাম বাসার সব মসলা নিজ হাতে করতেন। কারণ, বাজারের মসলাগুলোর মান ভালো ছিল না। বিভিন্ন রং, মেয়াদ ছাড়া পণ্য ব্যবহার করা এসব ব্যাপার থেকেই আমার এমন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা। যখন নিজে কিছু করার চিন্তা করি- তখন মসলা পণ্য নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করি। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করা।

আমি যখন অনলাইনে ব্যবসা শুরু করি, তখন আমার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনরা আমাকে বেশি সাপোর্ট করেছেন এবং এখনো করছেন। তাই আমি বলব তাদেরই ভূমিকা বেশি ছিল। তবে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বলব চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে ধৈর্য্য ও পরিশ্রমের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে’।

দেশে লকডাউনের সময়ে শারলিনার অনলাইনে শুরু করা ব্যবসার প্রথম বিক্রি ছিল ৬শ টাকার পণ্য। তারপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এভাবেই প্রায় ১৬ মাস যাবত সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন শারলিনা আলম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!